-->

বাংলা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার সম্পূর্ণ গাইডলাইন ২০২১

7 minute read

 ব্লগ তৈরি করা, ডিজাইন করা এবং পরিচালনা করা আজকের দিনে খুব বড় বিষয় নয়, এটি অল্প সময়ের মধ্যে করা যেতে পারে এবং সেটা  আবার কোনো প্রযুক্তিগত জ্ঞান ছাড়াই। তবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ, তবে আপনি যদি এসইওতে বিশেষজ্ঞ হন তবে যে কোনো আর্টিকেল খুব সহজেই এসইও ফ্রেন্ডলি  লিখতে পারেন। এটা সত্যি যে এটি নতুনদের পক্ষে খুব জটিল এবং সম্ভবত নতুন ব্লগাররা তাদের ব্লগ আর্টিকেলগুলো সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করতে ব্যর্থ হয়।

বাংলা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার সম্পূর্ণ গাইডলাইন ২০২১


আপনি যদি তাড়াতাড়ি  ব্লগিং -এ সফল হতে চান, তবে আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না, আপনাকে কেবল এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা শিখতে হবে। কারণ সার্চ ইঞ্জিনগুলো কেবল তখনই আপনার ব্লগ আর্টিকেলগুলো গুরুত্ব দেবে যখন আপনার আর্টিকেলগুলো এসইও ফ্রেন্ডলি হবে। আপনি জানেন না যে এখানে প্রতিদিন কতগুলো ব্লগ তৈরি এবং বন্ধ করা হয়। 

যদিও যে কোন কাজ করার পূর্বে তোমার কাছে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে হবে তাহলে তুমি সে কাজটি ভালোভাবে করতে পারবে। তুমি যদি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে চাও, তোমাকে অবশ্যই এ বিষয়ে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। 

বাংলায় এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার সম্পূর্ণ গাইডলাইন ২০২১



আজকে আমরা দুই দিনের ভিতর একটি এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লিখব। যার ফলে সার্চ ইঞ্জিনগুলো আপনার পোস্টগুলোকে ইন্ডেক্স করাবে এবং আপনি একটি ভাল রেংক পাবেন। যেটির ফলে আপনার সাইটে নিয়মিত ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এই দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দিলে আপনি ভালো একটা লিখতে পারবেন। 

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার পূর্বে অবশ্যই আপনার এসইও সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে এবং সেই আর্টিকেলটি ব্লগের সেটিং অনুসারে লিখতে হবে। এরপর অবশ্যই আপনার কনটেন্টটি অপটিমাইজেশন করতে হবে। 

এসইও এর কিছু নিয়ম আছে যেগুলো আপনার ব্লগ আর্টিকেলটিতে অনুসরণ করতে হবে।আপনি যদি নিয়মগুলো মেনে চলেন তাহলে আপনার পোস্টগুলো গুগলে ইনডেক্স হবে এবং রেঙ্ক করবে আর যদি নিয়মগুলো মেনে না চলেন তবে আপনি আপনার আর্টিকেলটি কে রেঙ্ক করাতে পারবেন না। একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার সময় নিচের নিয়মগুলো কে অনুসরণ করতে হবে:


কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয়?

১. কনটেন্ট অপটিমাইজেশন


সার্চ ইঞ্জিন অনুসারে অপটিমাইজ কনটেন্ট গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কনটেন্ট গুলো যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ হয় তবে আপনাকে আর কোন চিন্তা করতে হবে না। কারণে সার্চ ইঞ্জিন এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনগুলো খুব পছন্দ করে থাকে।

কন্টেন হলো আমাদের প্রধান সম্পত্তি। যদি আপনার কনটেন্ট সঠিক হয় তাহলে আর কিছু লাগেনা। যদি আপনি একদম নতুন হন তবে অবশ্যই একজন ভাল কনটেন্ট রাইটার হতে আপনার অনেক সময় লাগবে তবে একসময় অবশ্যই হবেন। আপনি যদি বারবার এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করতে থাকেন তবে একটা সময় পর একজন ভালো লেখক হবেন। 

২. কীওয়ার্ডস ব্যবহার 


যাইহোক , কোন ব্লগ আর্টিকেলই এসইও ফ্রেন্ডলি হবে না একটা জিনিস ছাড়া আর সেটি হল কীওয়ার্ডস।একটা এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কীওয়ার্ডস এর ভূমিকা ব্যাপক। আপনাকে সবকিছু ফলো করতে হতে পারে যদি আপনি এসইও আর্টিকেল লিখতে চান। যদি না আপনি আপনার ব্লগ আর্টিকেলটি কীওয়ার্ডস ব্যবহার করেন তবে সেটি কখনোই এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ আর্টিকেল হবে না। বড় ধরনের ব্লগ  আর্টিকেল যদি রেঙ্ক করতে না পারে তবে সেটা মূল্যহীন। তাহলে শীর্ষে যাওয়া ভুলে যান। কারণ এটা উদ্বেগের বিষয়। এটা অনিশ্চিত। তাই গভীরভাবে কীওয়ার্ডস বুঝুন এবং ব্যবহার করুন আপনার আর্টিকেলটিতে যাতে আপনি একটি এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ আর্টিকেল লিখতে পারেন এবং যেটি একটা ভালো রেঙ্ক এনে দিবে আপনাকে। আপনি আপনার ব্লগ আর্টিকেলটি যদি এসে ফ্রেন্ডলি করতে পারেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিনে একটা ভালো রেংক পাবেন।

৩. ব্লগ পোষ্টের জন্য আপনার ফেভারিট টপিক নির্বাচন করুন


যাইহোক, কোন বাধা নাই কোন বিষয়ে কন্টেন্ট লেখা উচিত  এবং কোন বিষয়ে উচিত নয়। কিন্তু তবুও আমি আপনাকে পরামর্শ দিব একটা টপিকে ব্লগিং করতে। অপ্রসঙ্গত, অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলো একাধিক বিষয়ের উপর তৈরি করা হয়েছে এবং তারা সেগুলোতেও বিশাল সফলতা লাভও করেছে।আপনিও একজন সফল ব্লগার হতে পারেন একাধিক বিষয়ে কন্টেন পাবলিশ করে, তবে এটা আপনার জন্য খুব কষ্টকর হতে পারে।

যদি আপনি একটি বিষয় ব্লগিং করেন তবে খুব সহজেই রেংকিং করে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন। জনপ্রিয়তার সাথে সাথে প্রচুর টাকাও ইনকাম করতে পারবেন। একটি টপিকের বা একটি নিশের উপর নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিস্ট করলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেলগুলো খুব দ্রুত রেঙ্ক করবে এবং খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।

আপনি যদি একাধিক নিশের উপর ব্লগ কনটেন্ট পাবলিশ করেন তাহলে গুগলে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো ফলাফল আসবে না এবং ভিজিটরদের থেকেও ভালো ফিডব্যাক পাবেন না। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে খুব বেশি সাপোর্ট পাবেন না।কিন্তু যদি আপনি এক বিষয়ের উপর ব্লগ আর্টিকেল নির্মিত পাবলিশ করেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি আপনি ভিজিটরদের থেকেও ভালো সমর্থন পাবেন।


তাই এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন কোন পদ্ধতিতে কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন। আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে তার মান অবশ্যই ভালো রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ কন্টেন হল রাজা। কিভাবে একটি উত্তম কন্টেন নির্বাচন করবেন।

৪. আর্টিকেলটির দৈর্ঘ্যের দিকে নজর দিন

লম্বা পোস্ট এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণে ভালো অবদান রাখে।কারন গুলোর মধ্যে একটি হলো ছোট্ট আর্টিকেল অন্যান্য আর্টিকেল এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হতে পারে।
যার ফলে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা কঠিন হয়ে যেতে পারে আপনার জন্য। ছোট আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনের ফ্রেন্ড করা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ব্যাপার। বড় আর্টিকেল লিখলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।তার মধ্যে একটি হলো অন্যান্য আর্টিকেল এর সাথে মিলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।এছাড়া খুব ভালোভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি করা যায় এবং খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করা যায়।
শুধু আর্টিকেলটি বড় করলে চলবে না সে আর্টিকেলটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য থাকতে হবে এবং এর মান অবশ্যই ভালো হতে হবে। শুধু বকবক করে আর্টিকেলটি পড়ে করলেই একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল হবে না।অযোধ্যা আর্টিকেল বড় না করে আর্টিকেলের কোয়ালিটির দিকে মনোযোগ দিতে হবে নতুবা আপনার ভিজিটররা বিরক্তি অনুভব করবে সেই লেখা আর্টিকেলটি পড়তে।
যদি আপনি একটা আর্টিকেল বিস্তারিত লিখতে চান তবে সেটি অটোমেটিকভাবে বড় ধরনের আর্টিকেল হয়ে যাবে।

৫. প্রাসঙ্গিক পোস্টগুলো ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংকিং করতে হবে

লিংকগুলো প্রায়ই ব্যবহার করা হয় ভিজিটরদের সহজ করার জন্য তাতে তারা আর্টিকেলগুলো খুঁজে পায় তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কোন রকম কষ্ট ছাড়াই। আপনি শুনে খুশি হবেন যে লিংক গুলো খুবই উপকারী একটা এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ আর্টিকেল তৈরি করতে।


আপনি ইতিমধ্যে জেনেছেন যে দুই ধরনের লিঙ্ক রয়েছে। যথা: ইন্টার্নাল লিংক ত এক্সটার্নাল লিংক। ইন্টারনাল লিংক গুলো এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ আর্টিকেল তৈরি করতে খুবই উপকারী এবং আপনি যদি এখনই না করে থাকেন তবে আজ থেকেই চেষ্টা করুন ইন্টারনাল লিংক করতে। এটি খুবই উপকারী । আমি আপনাকে পরামর্শ দিব যে প্রতিটা পোস্টে চার-পাঁচটা ইন্টার্নাল অথবা এক্সটার্নাল লিংক ব্যবহার করবেন।

৬. কনটেন্ট ইমেজ

ইমেজ গুলো ব্লগের আর্টিকেলের জন্য খুবই উপকারী। আর্টিকেলে কখনো ইমেজ যোগ করা ভুলবেন না।আর্টিকেল অনুসারে প্রয়োজনে সবগুলো ইমেজ জব করার চেষ্টা করবেন।

অবশ্যই আপনার আর্টিকেল গুলোতে ইমেজ যোগ করবেন। আশা করি আপনি আর্টিকেল রেলেটদ ইমেজ অফ করে তার সেটিং গুলো ঠিক করবেন।বিশেষ করে ইমেজের টাইটেল, ওয়াল্টার ট্যাগ ও ডেসক্রিপশন সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবে । যিনি এই বিষয়ে না জানেন তবে অবশ্যই আমাকে বলবেন আমি এ বিষয়ে পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করব।

৭. হেডিং ব্যবহার করা

ব্লগ কনটেন্টের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হেডিং। আপনি চাইলে কনটেন্ট এর প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ধরনের হেডিং ব্যবহার করতে পারেন। হেডিং ব্যবহার করা ব্লগ আর্টিকেল কে বড় ধরনের এসইও ফ্রেন্ডলি তৈরি করতে সহায়তা করে থাকে। আমি আপনাকে পরামর্শ দিব আপনার আর্টিকেলটিতে  H2, H3 ও H4 হেডিং গুলো ব্যবহার করুন বিশেষ করে সাব হেডিং হিসেবে। হেডিং ব্যবহার করার ফলে আর্টিকেলটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয় এবং এবং আর্টিকেলটি পড়তে খুব ভালো লাগে।এছাড়া হেডিং ব্যবহারের আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে সেগুলো আপনি গুগলে সার্চ করে জানতে পারেন।

৮. কনটেন্ট সেটিং

আশা করছি আপনার আর্টিকেলটি অপটিমাইজ হয়ে গেছে। এখন আপনার পরবর্তী কাজ হচ্ছে কনটেন্টের সেটিং গুলো ঠিক করা। কন্টেন সেটিং হলো একটা বহিরাগত বিষয় যেগুলোকে আপনার অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৯. কাস্টম পার্মালিংক ব্যবহার করুন

পার্মালিনক একটা কন্টেন্টের জন্য খুবই জরুরী। একজন ভিজিটর পার্মালিংক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে।যদিও ওয়াডপ্রেস এটাকে অটোমেটিক ভাবে তৈরি করে কিন্তু আপনি ভুলেও এটা ব্যবহার করবেন না। আপনি কাস্টম পার্মালিংক তৈরি করে নিবেন। পার্মালিংক তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পোষ্টের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করবেন। পারমানিক তৈরি করার ক্ষেত্রে খুব বেশি বড় করবেন না আবার খুব বেশি ছোট করবেন না। আপনার কন্টেনের সাথে এসইও অপটিমাইজ করে পার্মালিংক তৈরি করবেন।

১০. পোস্টের টাইটেল

কনটেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তার টাইটেল। একটা আর্টিকেল এর টাইটেল হ্যালো গুগল হৃদয়। এটিকে অবশ্যই অনেক কার্যকরী হতে হবে। অবশ্যই আপনার টাইটেলটি এসইও ফ্রেন্ডলি করে নিবেন। আর্টিকেল এর যেকোনো একটি বিষয় অবজ্ঞা করলে অবশ্যই সেটা বড় ধরনের ভুল হতে পারে। যার ফলে আপনার লেখা আর্টিকেলটি এসইও ফ্রেন্ডলি নাও হতে পারে।

১১. ডেস্ক্রিপশন

আর্টিকেলটির ডেস্ক্রিপশন এর উপর লক্ষ্য রাখুন। কারণ এটিও আর্টিকেলটিরই একটা অংশ। যদিও এই অংশটি ভিজিটরদের নিকট দৃশ্যমান হয় না। কিন্তু আপনার তথ্য, আমি আপনাকে বলতে চাই যে সার্চ ইঞ্জিনগুলো দেখাবে আপনার ব্লগ কনটেন্টের ডেসক্রিপশন তাদের সার্চ ফলাফলে। প্রয়োজনে আপনার কনটেন্ট এর যেকোন প্যারাগ্রাফ বা লেখা সাচ ইন্জিন গুলো দেখাতে পারে। এটিকে অবশ্যই আপনি এসইও ফ্রেন্ডলি করার চেষ্টা করবেন। কারণ এটি আপনার সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে দেখাবে।


উপসংহার

সুতরাং এখন আমি বলতে পারি যে উপরের বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে একটা আর্টিকেল লিখলে অবশ্যই সেটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হবে।এখন থেকে যে কোন আর্টিকেল লেখার পূর্বে  আলোচিত বিষয় গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য রেখে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন।