-->

ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়ানোর উপায়

3 minute read

 আপনি কি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের গতি বাড়ানোর উপায় অনুসন্ধান করছেন? প্রতিটি ব্লগারের কাছে তার ওয়েবসাইটের বৃদ্ধি করা একটা মাথা ব্যথার কারণ। ফাস্ট লোর্ড নেওয়া ওয়েবসাইটগুলোতে ভালো ব্যবহার অভিজ্ঞতা পায়। এছাড়াও ওয়েবসাইটের স্পিড বর্তমানে গুগলের রেংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।

আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত কিভাবে ব্লগের স্পিড বাড়ানো যায়? ব্লগের স্পিড বাড়ানোর উপায় ও ও ব্লগের গতি বাড়ানোর টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হবে।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়ানোর উপায়


ব্লগিং-এ সফলতার ক্ষেত্রে যত বেশি ব্লগের লোডিং স্পীড বেশী হবে ততো বেশি সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ব্লগের লোডিং স্পিড এর উপর ভিজিটরের প্রভাব রয়েছে। একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, যদি কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগের লোডিং স্পীড তিন সেকেন্ডের বেশি সময় হয় সে ক্ষেত্রে সেই ওয়েবসাইটের অধিকাংশ ভিজিটর হারিয়ে ফেলে।

এই ব্যস্ত পৃথিবীতে কেউ তার মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চায়না। এজন্য কোন ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড খুব কম হলে ভিজিটররা তৎক্ষণাৎ অন্য ওয়েবসাইটে ফিরে গিয়ে প্রবেশ করে। ঠিক এ কারণে একজন ব্লগার হিসেবে আপনার উচিত হবে আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড বৃদ্ধি করা যাতে করে ভিজিটররা খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে ।


তো চলুন এখন মূল আলোচনায় আসা যাক। আজকে আমরা জেনে নেব ব্লগের লোডিং স্পীড বাড়ানোর নয়টি কার্যকারী টিপস যা সত্যি অনেক উপকার করবে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়ানোর ক্ষেত্রে।



কিভাবে ব্লগের স্পিড বাড়ানো যায় ?


প্রথমে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড জেনে নিতে হবে। এজন্য আপনি চাইলে Google pagespeed Insights বা Pigdon ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড পরীক্ষা করে নিতে পারেন। এরপর আপনাকে আমার দেওয়ার টিপসগুলো অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। আশাকরি আপনার ব্লগের স্পিড অথবা ওয়েবসাইট এর স্পিড পূর্বের তুলনায় অনেক গুণে বৃদ্ধি পাবে।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়ানোর উপায়

১. Amp Template ব্যবহার করা

আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য টেমপ্লেট নির্বাচন করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ক্লিন কোডেট টেমপ্লেট নির্বাচন করতে হবে। এই ধরনের অসংখ্য টেমপ্লেট গুগল এ আপনি সার্চ করলে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। এরপর আপনি যেটা করতে পারেন সেটা হল আপনার খুঁজে পাওয়া টেমপ্লেটটি গুগল থেকে লোডিং স্পীড পরীক্ষা করে নিতে পারেন।

আপনার ওয়েবসাইটের ধরন অনুযায়ী সে ধরনের টেমপ্লেট ব্যবহার করা উত্তম হবে আপনার জন্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনার ওয়েবসাইটের ধরন যদি সংবাদপত্র হয় তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের টেমপ্লেট নির্বাচনের পূর্বে সংবাদপত্র বিষয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন। ফলে এ ধরণের টেমপ্লেটে কোডিং ভালো করে তৈরি করা হয়।

অধিকন্তু, আপনি চাইলে আপনার ওয়েব সাইট অথবা ব্লগের জন্য AMP টেমপ্লেট ব্যবহার করতে পারে যেটা খুব দ্রুত লোড নিয়ে থাকে। এ ধরনের টেমপ্লেটগুলোতে লে-আউট খুব পরিষ্কার ও রেস্পন্সিভ হয়ে থাকে। যার ফলে এ ধরণের টেম্পলেটগুলো খুব তাড়াতাড়ি লোড নেয়।


২. অতিরিক্ত ইমেজ না ব্যবহার করা

যদিও ইমেজ ব্যবহারের ফলে আমাদের ওয়েবসাইটটির আর্টিকেলগুলো অনেক আকর্ষণীয় মনে হয় তবে এই ইমেজগুলো যদি বেশি ব্যবহার করা হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি লোড নিতে বেশি সময় নেবে।

সাধারণত ইমেজগুলো যদি বেশি বড় সাইজের হয়ে থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি লোড নিতে খুব বেশি সময় নিয়ে থাকবে।

আমরা ইমেজ সাধারণত আমাদের পোষ্টগুলোকে আরো বেশি তথ্যবহুল ও কার্যকরী করার জন্য ব্যবহার করে থাকি। এক্ষেত্রে আমাদের ইমেজগুলোর সাইজ বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে কমিয়ে নেওয়া উচিত।

বর্তমানে ইন্টারনেটে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের ইমেজগুলোর সাইজ কমিয়ে নিতে পারবেন একদম ফ্রিতে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড এর উপর প্রভাব পড়বে। ফলে আপনার ওয়েবসাইটটি খুব তাড়াতাড়ি লোড নিবে।

৩. অতিরিক্ত Widgets ব্যবহার না করা

অতিরিক্ত উইগেট Widgets ব্যবহার করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের কোডিং আরো বেশি হয়ে যাবে। কোডিং যত বেশি হবে আপনার ওয়েবসাইটটি লোড নিতে ততই সময় নেবে। যার কারণে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড কমেে যাবে। 


সুতরাং এখনি আপনার উচিত হবে অপ্রয়োজনীয় উইজেটগুলো এখনই ডিলিট করে ফেলা আপনার ব্লগ থেকে। এটা করার ফলে আপনার ব্লগের লোডিং স্পীড বাড়বে।


৪. হোমপেজে কমসংখ্যক আর্টিকেল রাখা

হোমপেজে আর্টিকেল এর সংখ্যা বেশি রাখলে যেটা আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড এর উপর মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলে। হোমপেজে অতিরিক্ত আর্টিকেল রাখলে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড এমনিতেই কমে যায়।

সুতরাং আপনার উচিত হবে আপনার ওয়েব সাইট অথবা ব্লগ সাইটের হোম পেজের নির্ধারিত আর্টিকেল সংখ্যা এখনই কমিয়ে আনা। যাতে করে আপনার ওয়েবসাইটটি পরবর্তীতে খুব তাড়াতাড়ি লোড নিবে। ব্লগের স্পিড বাড়ানোর এটাও একটা কার্যকরী উপায়।


৫. অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করা

বিজ্ঞাপনগুলো জাভাস্ক্রিপ্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। যেটা কোডের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। আর অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা মানেই আপনার ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত কোড যোগ করা। 

যার কারনে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড কমে যাবে। এছাড়া অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর এর জন্য বিরক্তির কারণ হতে পারে।

সুতরাং আপনার উচিত হবে এখনি আপনার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনগুলোর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং অভিজ্ঞতার উন্নতি লক্ষ্য করবেন।